স্বেচ্ছাশ্রম - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে স্বেচ্ছাশ্রম একান্ত প্রয়োজন কারণ দশের লাঠি একের বোঝা। কারো একার পক্ষেই দেশ তথা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রম - অনুচ্ছেদ লিখতে আসে। তাই আমি স্বেচ্ছাশ্রম - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রম - অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

Image

শিক্ষার্থী বন্ধুরা, স্বেচ্ছাশ্রম তোমাদের বেশি আত্মনীয় করতে হবে কারণ তোমরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। তোমরা যদি স্বেচ্ছাশ্রম দাও তাহলে দেশ ও জাতি অনেক এগিয়ে যাবে এবং দেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত থাকবে। নিচে তোমাদের জন্য স্বেচ্ছাশ্রম - অনুচ্ছেদ লিখা হলো -

স্বেচ্ছাশ্রম - অনুচ্ছেদ 


মানসিক দিক থেকে প্রশান্তি যদি চাও

 স্বেচ্ছাশ্রমে তুমি আত্মনিয়োগ দাও।

স্বেচ্ছাশ্রম বলতে সেই পরিশ্রমকেই বোঝানো হয় যে পরিশ্রম মানুষ জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য নিজের ইচ্ছায় আত্মনিয়োগ করে। স্বেচ্ছাশ্রম হলো মানব জীবনের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই কর্মকান্ড বিভিন্ন ক্ষুদ্র পরিসরেও করা যায় আবার অনেক বৃহৎ পরিসরে করা সম্ভব। স্বেচ্ছাশ্রমকে আমাদের দেশের সরকার উপলব্ধি করে জনসাধারণকে বৃক্ষরোপণ, নদীপুনঃ খনন, পুকুর, ডোবা, খাল, বিল, রাস্তাঘাট নির্মাণ ইত্যাদি সংস্কারের কাজে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। কথায় আছে-দশের লাঠি একের বোঝা।

আরো পড়ুনঃ  কর্মমুখী শিক্ষা - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

তবে অনেকাংশে এই আহবানের সাড়া মিলেছে। ইতিমধ্যেই কয়েকশ মাইল দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণ সম্ভব হয়েছে অতি অল্প সময়ের মধ্যে। আবার বেশ কয়েকটি নদীতে পানি প্রবাহ দেখা দিয়েছে এমন উল্লেখযোগ্য নদী গুলো হল - কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গার চিত্রা নদী খনন, ময়মনসিংহের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খনন এবং কুমিল্লা জেলার সুন্দরপুর খাল খনন, বরিশাল ও টাঙ্গাইলের রাস্তা নির্মাণ সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র স্বেচ্ছাশ্রম এর মাধ্যমে।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস - রচনা সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুন

বাংলাদেশের শতকরা ৮0 ভাগ লোক গ্রামে বাস করে এবং এখনো তারা সঠিকভাবে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। স্বেচ্ছাশ্রমী মানুষ যদি এসব মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে বাংলাদেশের মানুষকে নিরক্ষরতার হাত থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব এবং দরিদ্র বিমোচনেও স্বেচ্ছা শ্রমী মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে আর এজন্য সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি এবং বিভিন্ন এনজিওগুলোকে সহায়তা প্রদান করছে। যারা স্বেচ্ছাশ্রম প্রদান করে তারাই আসলে দেশ প্রেমিক। তারা নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে জনকল্যাণ কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে।

শেষ কথা

স্বেচ্ছাশ্রম উদ্বুদ্ধ মানুষের মাঝে নাগরিক চেতনা বোধের জন্ম হয়। মানুষ লোভ স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে সকলের কল্যাণ কামনায় যে কাজ করে তাকে বলা হয়  স্বেচ্ছাশ্রম। আমাদের সকলেরই উচিত অন্যের মঙ্গলের কথা চিন্তা করা দেশের কল্যাণে উদ্বুদ্ধ হয়ে যে কোনো জনকল্যাণকর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া। তবেই হবে সার্বিক অগ্রগতি আর এভাবেই তথা দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url