আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস - সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস
পরিবার কথাটি শুনলেই অনেক শান্তি লাগে, কারণ -
এই পৃথিবীতে সকল প্রাণীর এক অশেষ নিয়ামতের জায়গার নাম হলো পরিবার।
প্রত্যেকটি মানব জীবনের জন্য পরিবারের ভূমিকা ও পরিসীম। পরিবার শুধু একজন মানুষের জন্যই যে গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, পরিবার পশু, পাখি সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। একটি মানব শিশু জন্মের পর থেকে তার সামাজিকীকরণের সবকিছুই তার পরিবার থেকে শিখে আসে। পরিবার হতে একটি শিশু সমাজে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় তার শিক্ষা লাভ করে।
পরিবার হলো এক সেতু বন্ধন আর এই কথাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই পরিবার দিবস পালন করা হয়। এক কথায় বলতে গেলে পরিবার দিবসের মূল লক্ষ্য হলো সকলকে পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেওয়া এবং প্রিয়জনদের সাথে তাদের মানসম্পন্ন সময় কাটাতে উৎসাহিত করা।
আলবার্টার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হেলেন হানলি ১৯৯০ সালে পরিবার দিবস আইন পাস করেন এবং তখন থেকেই আলবার্টায় পরিবেশ দিবসের সূচনা হয়। আলবার্টায় এরপর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবার দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং পরবর্তী প্রায় ২ দশক ধরে আলবার্টায় মানুষ এই ছুটি গ্রহণ করে আসছে।
এই পরিবারের মূল্য কত বুঝবি তোরা বারবার,
যখন পরিবারের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যাবে হেলায় কার!
১৫ মে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালন করা হয়।আলবার্টার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হেলেন হানলি ১৯৯০ সালে পরিবার দিবস আইন পাস করলেও ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে এই দিবস পালনের অনুমতি প্রদান করেন। আন্তর্জাতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং জনসংখ্যা তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য সাধারণত এই পরিবার দিবস পালন করা হয়।
পরিবার হলো একটি সামাজিক সংগঠন যা কমপক্ষে দু পুরস্কার পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কিন্তু এই সংজ্ঞার আগেও আমরা যদি প্রাচীনকালে সেই বর্বরোচিত গুহা বাসীর দিকে তাকায় তাহলে দেখতে পাবো তারা ও সঙ্ঘবদ্ধভাবে বসবাস করত এবং তারা যে কোন পশু শিকার করতে গেলে ও দলবদ্ধ ভাবে যেত যা পরিবার গঠনেরই নামান্তর।
পরিবার হলো একটি সামাজিক সংগঠন যেখানে দুই বা ততোধিক লোক একত্রে বসবাস করে। আমাদের সমাজে দুই ধরনের পরিবার পরিলক্ষিত হয়। একটি হলো একক পরিবার এবং অপরটি হল যৌথ পরিবার। খুব বেশি দিনের কথা নয়, প্রায় এক দশক আগে যদি আমরা তাকায় তাহলে দেখতে পাবো সেখানে যৌথ পরিবারের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা ভেঙ্গে একক পরিবারে পরিণত হয়েছে।
বর্তমান সমাজে অর্থাৎ আধুনিক এই যুগে একক পরিবারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারা আর যৌথ পরিবারের সঙ্গে থাকতে চায় না, কারণ যৌথ পরিবার হলো তাদের কাছে এখন ঝামেলা মাত্র। বর্তমান সময়ে পরিবারগুলো ভেঙে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। আমাদের সমাজের দিকে তাকালে আমরা পলাশ সাহার মা এর মত মা দেখতে পায় যারা পরিবার ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য একাই যথেষ্ট।
আবার অনেক সন্তান রয়েছে যারা তার বাবা-মাকে নির্দ্বিধায় খুন করে। আমাদের সমাজে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যেমন - নাটর সিংড়া থানার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে শিফা, পুলিশ অফিসারের মেয়ে ঐশী। আর এই সন্তানগুলো একদিনে নষ্ট হয়ে যায়নি। তারা পরিবার থেকে বিভিন্ন কারণে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্যই এমন হয়েছে কারণ তাদের রয়েছে সঠিক শিক্ষার অভাব।
অর্থাৎ নৈতিক শিক্ষার অভাব। পরিবারে থাকে মা বাবা ভাই বোন সকলের ভালোবাসা থাকে সোহার্দ্য সম্প্রীতি যেখানে থাকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা, তাইতো বিশ্বব্যাপী ১৫ মে বিশ্ব পরিবার দিবস পালন করা হয়। যেখানে থাকে সন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহ, বাবার ভালোবাসা। পরিবার হচ্ছে প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রথম শিক্ষালয়।
আমাদের সমাজের মানুষকে যদি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায় তবেই হবে পরিবার সুখে শান্তিতে ভরপুর। আর সেদিনই হবে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসের সার্থকতা। আজকের যে শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাদের এই মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া শুরু হয় পরিবার থেকে। আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসে সকল পরিবারের প্রতি রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভকামনা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url