বাবা - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

অনুচ্ছেদ বাংলা দ্বিতীয় পত্রের একটি  অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রায় প্রতিটি পরীক্ষায় বাবা অনুচ্ছেদ লিখতে আসে তাই আমি বাবা - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় বাবা - অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

Image

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা মনে রেখো বাবা হল এই পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন, বটবৃক্ষের ছায়া। নিচে তোমাদের জন্য বাবা - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখা হলো-

বাবা - অনুচ্ছেদ 

বাবা, তুমি আমার মাথার মুকুট

আমার চোখের তারা।

তুমি বিনা এই দুনিয়ায়,

আমি সর্বহারা।

এই পৃথিবীতে আমার বাবা সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধেয়,অনুকরণীয় এবং প্রিয় একজন মানুষ। কারণ আমি মনে করি বাবা মানে বট বৃক্ষের ছায়া, বাবা মানে সবকিছুর নির্ভরতা। আর এই কারণে শাস্ত্রে বলা হয় "পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহি পরমং তপঃ"। আমার বাবার নাম মোঃ আহসান আলী। তার বয়স ৪৫ বছর। তিনি একজন কৃষক। এর মাঝেও তিনি ভীষণ ধার্মিক। তিনি নিয়মিত নামাজ আদায় করেন, কোরআন তেলাওয়াত করেন এবং অন্যান্য সকল ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন এবং তিনি সবসময় চেষ্টা করেন আমরাও যেন তার মতোই ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই এবং ধর্মের সকল অনুশাসন মেনে জীবন যাপন করি।

আরো পড়ুনঃ  বিশ্ববিদ্যালয় - অনুচ্ছেদ (ক্লাস-৯, class 10) সম্পর্কে জেনে নিন

আমায় নিয়ে সারাক্ষণই, 

ভাবতে থাকেন যিনি।

এই জগতে সবার চেয়ে আপন, 

বাবা আমার তিনি।

আমার বাবা একজন কৃষক। আমার বাবা সারাদিন মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন তারপরেও যেন আমার কোন কাজ করতে তার চোখে মুখে কোন ক্লান্তির ছাপ দেখা যায় না। তিনি আমার কোন চাহিদায় কখনো অপূর্ন রাখেন না। তিনি আমার প্রতি সর্বদাই যত্নশীল। সারা পৃথিবীতে বাবাদের সম্মান দেওয়ার জন্যই ১৯০৮ সালে সর্বপ্রথম বাবা দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে প্রথম ৫ জুন বাবা দিবস পালন করা হয়। এরপর থেকে  জুলাই মাসের তৃতীয় রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস নির্ধারণ করা হয়।

আরো পড়ুনঃ  জন্মদিনের সন্ধ্যা - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

দুহাত তুলে প্রভুর কাছে,

 এই দোয়াই করি। 

জীবন ভরে যেন বাবার, 

সেবা করতে পারি।

শেষ কথা

একজন বাবা হলেন পৃথিবীর সেরা শিক্ষক, বন্ধু ও পথপ্রদর্শক। বাবা তার সন্তানকে যেমন অতি যত্ন এবং মমতা দিয়ে লালন পালন করেন তাদের শেষ বয়সে প্রতিটা সন্তান যেন তাদেরকেও সেই ভাবে যত্ন করেন। তাদের একটু সময় দেন আর এইটাই হোক পৃথিবীর সকল সন্তানের কাছে কামনা।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url