ক্রিকেট খেলা রচনা - সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের ক্রিকেট খেলার রচনা লিখতে আসে। যে কোন পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতির জন্য খেলাধুলা বিষয়ক অবশ্যই একটি রচনা তোমাদের মুখস্ত করে রাখা উচিত। আর ক্রিকেট খেলা রচনা তোমাদের অনেক বেশি প্রয়োজন হয় তাই আমি ক্রিকেট খেলা রচনা সম্পর্কে লেখার চেষ্টা করেছি।

Image

শিক্ষার্থী বন্ধুরা একটা বিষয় মনে রাখবে, যদি আমার প্রিয় খেলা আসে তাহলে ক্রিকেট কেন প্রিয় খেলা এই পয়েন্টটা লিখবে। আর যদি ক্রিকেট খেলা রচনা আসে তাহলে তোমরা এই পয়েন্টটা ইচ্ছে করলেই বাদ দিতে  পারো। নিচে ক্রিকেট খেলা রচনা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

পোস্ট সূচিপত্রঃক্রিকেট খেলা রচনা

ভূমিকা

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হলো ক্রিকেট খেলা। ক্রীড়া জগতের রাজা বলা হয় এই ক্রিকেট খেলাকে। বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই জনপ্রিয় খেলাটি। আধুনিক বিশ্বে এক অভিজাত ও জনপ্রিয় খেলা হলো ক্রিকেট খেলা। এ খেলার রাজকীয় গুণাবলীর জন্য একে আবার খেলার রাজা বলা হয়ে থাকে। ফুটবলের মত ক্রিকেট একটি বিদেশী খেলা। ক্রিকেট খেলা অনেক ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘমেয়াদি খেলা হলেও বর্তমানে ক্রিকেট খেলা হলো একটি জনপ্রিয় খেলা।

১৭২১ সালে ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নাবিকেরা ক্রিকেট খেলা সূচনা করেছেন বলে জানা যায়। নতুন রেকর্ড গড়ার আর পুরাতন রেকর্ড ভাঙার খেলার নাম হল ক্রিকেট খেলা। তাইতো ক্রিকেট কে নিয়ে পুরো বিশ্বে এত মাতামাতি, এত উত্তেজনা এত কোলাহল। ক্রিকেট খেলা সাধারণত শীতকালীন খেলা কারণ এই খেলা সারাদিন হয়ে থাকে তবে বর্তমানে সব ঋতুতে ক্রিকেট খেলা হয়ে থাকে। 

ক্রিকেট খেলার ইতিহাস

ইংল্যান্ডকে ক্রিকেট খেলার জন্মভূমি বলা হয়। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের জন্ম তাই ইংল্যান্ডকে ক্রিকেটের জনক বলা হয়। খ্রিস্টীয় ১৮ শতকে প্রথম ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডের মাটিতে। প্রথম ক্রিকেট দল গড়ে উঠে হাম্পায়ারের অন্তর্গত হাম্পোল্ডনে। ক্রিকেট খেলার উদ্ভব হয় অভিজাতকদের অবসর কাটনের মাধ্যম হিসেবে। ক্রিকেট খেলা রাজবংশী ও অভিজাত শ্রেণীর লোকদের খেলা।

আরো পড়ুনঃ  একটি ঝড়ের রাত - রাত্রি রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

ইংল্যান্ডের রাজা অ্যাড ওয়ার্ডের আমলে ত্রয়দ শতাব্দীর একটি বইয়ে উল্লেখ রয়েছে ক্রিকেট খেলার তবে অষ্টদের শতাব্দীতে এ খেলা জনপ্রিয়তা লাভ করে। উক্ত বইয়ে ১৯৪৫ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল মহিলা ক্রিকেট ম্যাচ এমন তথ্য মিলেছে। ১৯৪৪ সালে ক্রিকেট খেলার নিয়ম-কানুন কিছু চালু হয়। পরবর্তীকালে বিত্তশালী ক্রিকেটামোদি সংগঠন ক্রিকেট খেলার কিছু নিয়ম প্রবর্তন করে এবং এমসিসি প্রতিষ্ঠা করে যে ক্লাব সেটি হাম্বল ডন ক্লাব নামে পরিচিত।


যেসব নিয়মকানুন পরবর্তীতে হয় ক্রিকেট কে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য তা এম সিসিরই বেঁধে দেওয়া নিয়ম বলে উল্লেখ করা হয়। এই খেলা পরবর্তী সময়ে সকল ব্রিটিশ উপনিবেশ সহ সমগ্র ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ক্রিকেট বাংলাদেশসহ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে সহ অনেক দেশে এই খেলা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

ক্রিকেট খেলার প্রকারভেদ

ক্রিকেট খেলা তিন ধরনের যথা

  •  ওয়ানডে ম্যাচ বা সীমিত ওভারের খেলা

  •  টেস্ট ম্যাচ বা ৫ দিনের খেলা এবং

  •  টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বা ২০ ওভারের খেলা 

বিশ্বে বিখ্যাত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও মর্যাদার দেশগুলোর হলো - ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ক্রিকেট খেলার জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

ক্রিকেট খেলার উপকরণ

ক্রিকেট খেলার প্রধান উপকরণ হলো কাঠের তৈরি ব্যাড ও ক্রিকেট খেলার নিয়ম অনুযায়ী যার উচ্চতা হল আড়াই ফুট ও প্রস্থ ৪ ইঞ্চি যা সাড়ে চার ইঞ্চি।  এছাড়া প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি ব্যাস  বিশিষ্ট প্রায় ৩৮০ গ্রাম ওজনের চামড়া মোড়ানো কাঠের বল। এছাড়া খেলার জন্য কাঠের তৈরি তিনটি দন্ড প্রয়োজন হয় টিকিটের ভাষায় এগুলোকে উইকেট বলে। বিপরীত দিকে আরো তিনটি উইকেট থাকে।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস - রচনা সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুন

আর উইকেটের মধ্যে ব্যবধান সমান করে রাখার জন্য দুইটি কাঠের কাঠি বা দুইটি দুই টুকরো প্রয়োজন হয় যা উইকেটের উপর বসানো থাকে।কাঠের এই টুকরোকে বলা হয় বেল। এছাড়াও পায়ে পরার জন্য দুটি তুলার তৈরি একপ্রকার পুরু প্যাড থাকে এবং হাতে পরার জন্য থাকে গ্লাভস বা হাত মোজা। ফলে সামনে আঘাত পেলেই বেল মাটিতে পড়ে যায় এবং এতে খেলার মীমাংসা সহজ হয়। আর এইভাবে আউট হলে বলা হয় উইকেট আউট।

ক্রিকেট খেলার মাঠ

ক্রিকেট খেলার মাঠ টি বেশ বড় ও বৃত্তাকার হয়। ক্রিকেট খেলার মাঠের দৈর্ঘ্য হয় সত্তর ৭০ গজ। খেলার জন্য মাঠের যে স্থানে ব্যাট দিয়ে বল কে আঘাত করা হয় সেই স্থানকে অনেক যত্ন করে তৈরি করা হয়। এই জায়গাটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় এবং একে বলা হয় পিচ। আর এই জায়গাটি বা পিচ লম্বা থাকে ৪৪ হাত বা ২২ গজ। ক্রিকেট খেলার ১১ জন করে দুই দলে মোট ২২ জন খেলোয়াড় থাকে।

ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন

সাধারণত দুই দলের মধ্যে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি দুই দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে। দুইজন আম্পিয়ার থাকেন এই খেলা সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য। খেলা শুরুর আগেই দুইজন অ্যাম্পিয়ার এবং দুই দলের অধিনায়ক মাঠে আসেন কোন দল আগে ব্যাট করবে তা নিয়ে টস করা হয় অর্থাৎ একটি মুদ্রা দুই দলের অধিনায়ককে দেখানো হয় এবং বলা হয় কে কোন দিকটা  নিবে।


এরপর দুই দলের অধিনায়কের সম্মতিতে অ্যাম্পিয়ার মুদ্রা উপরের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে ঠিক করে কে আগে ব্যাট করবে। তবে টসে জিতে অধিনায়ক বল করবেন না ব্যাট করবেন তা বেঁচে নিতে পারেন। উভয় দলকেই একবার করে ব্যাট করতে হয়। ফিল্ডিং কারী দলের ১১ জন খেলোয়াড় মাঠের ভিতরে অধিনায়কের নির্দেশ মেনে তাদের নিজস্ব স্থানে অবস্থান নিতে হয়। যে দল প্রথমে ব্যাটিং  করবে সে দলের দুই জন খেলোয়াড় তাদের ব্যাট হাতে নিয়ে দুই উইকেটে দাঁড়ান।

আরো পড়ুনঃ  বঙ্গবন্ধু টানেল - কর্ণফুলী টানেল রচনা সম্পর্কে জানুন

এক দল বল করে এবং অন্য দল ব্যাট  দিয়ে বল পেটান এবং রান সংগ্রহ করেন। আর অপরজন দৌড়ে দলের জন্য রান সংগ্রহ করেন। যারা বল করে অর্থাৎ প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের আউট করার চেষ্টা করে থাকেন সেই যে বল নিক্ষেপ করে তাকে বলা হয় বোলার। আর যে বল করে সে পরপর ছয়টি করে বল করে অর্থাৎ ছয় বলে হয় এক ওভার। অর্থাৎ ছয়টি বল কে এক ওভার হিসেবে ধরা হয়। ব্যাটসম্যান বল পিটান অতি সতর্কতার সহিত।


সুযোগমতো বল পাঠিয়ে দেন মাঠের বাইরে। যদি বল মাঠে গড়িয়ে মাঠের সীমানা পার হয় তাহলে ব্যাটসম্যান অর্জন করে চার রান আর যদি বল উপর দিয়ে মাঠের সীমানা পার হয় তাহলে ব্যাটসম্যান অর্জন করে ছয় রান মানে ছক্কা। আর বল যদি আঘাত করে পাঠিয়ে দিয়ে খেলোয়াড় এবং ব্যাটসম্যান দৌড়ে নির্দিষ্ট সীমানা অর্থাৎ ২২ গজ অতিক্রম করে তাহলে রান অর্জিত হয়। এক্ষেত্রে তারা দুইজন দৌড়ে যতবার এই সীমানা অতিক্রম করবে অর্থাৎ ২২ গজ অতিক্রম করবে তত রান অর্জন হবে।


আর উইকেটে বল লাগলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যান একে বলা হয় বোল আউট। আর ব্যাটসম্যান এবং খেলোয়াড় দৌড়ে রান করার সময় যদি আউট হয়ে যান তাহলে একে বলা হয় রান আউট। আর ব্যাটসম্যান বলে আঘাত করার পর বল মাটিতে পড়ার আগেই যদি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় বল ধরে থাকেন তাহলে তাকে বলা হয় কট আউট বা ক্যাচ আউট। আর বল যদি নির্দিষ্ট স্থানে না লেগে স্ট্যাম্পে লাগে তাহলে হয়ে যায় স্ট্যাম্প আউট।

আরো পড়ুনঃ প্লাস্টিক মুক্ত - আমার পৃথিবী রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বোলার বল হাতে ধরে নিলে ব্যাটসম্যান আর দৌড়াতে পারে না। বলিং এবং ব্যাটিং নির্ভর করে সাধারণত পিচের উপর। বোলারের বল ছোঁড়ার যে কৌশল তারই আলাদা আলাদা নাম রয়েছে।যেমন ফাস্ট বোলার, পিন্স বোলার ইত্যাদি। এক দলের সবাই আউট হয়ে গেলে বা নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলে এক দলের খেল শেষ হয় তখন অপর দল মাঠে নামে।


এভাবে দুই দলের খেলা শেষ হয়। সব ক্রিকেট খেলার জয়-পরাজয় নির্ভর করে কোন দল কত রান করল এবং কয়টি উইকেট থাকল তার উপর এবং কয়জন খেলোয়ার নট আউট রয়েছে তার ওপর। যে দল রান বেশি করে বা উইকেট ধরে রাখতে সক্ষম হয় সেই দল বিজয়ী হয়। 

ক্রিকেট খেলার আনন্দ

ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় ক্রিকেট খেলার আনন্দ নির্ভর করে। ক্রিকেট খেলার আনন্দ তখনই বেড়ে যায় যখন নিজের পছন্দের দল চার এবং ছক্কা মেরে নিজেদের দল রান সংগ্রহ করতে থাকে। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন সৈন্য সাজানো হয় ঠিক তেমনিভাবে ক্রিকেট খেলার মাঠেও খেলোয়াড় সাজানো থাকে। আর এই ১১ জন খেলোয়াড় কে ভেদ করে বল মাঠের বাইরে চলে গেলে চার এবং ছক্কা হলে সত্যিই খুব আনন্দ হয়।


বোলিংয়ের দাপট এবং ফিল্ডারদের হাতে ব্যাটিংদের বিপর্যয় উত্তেজনা আর উৎকণ্টাকে সত্যিই অনেক বাড়িয়ে দেয়। তবে একদিনের পঞ্চাশ ৫০ ওভার খেলা বা ওয়ানডে ম্যাচের উত্তেজনায় আলাদা। তবে বর্তমানের সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং উত্তেজনাপূর্ণ খেলা হল টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বা ২০ ওভারের খেলা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা

ক্রিকেট খেলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খেলার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। শুরু থেকে শুধুমাত্র টেস্ট ম্যাচ খেলা শুরু হলেও পরবর্তীতে তা একদিনের ম্যাচে পরিবর্তিত হয়েছে। ক্রিকেট খেলা প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হয় ৬০ ওভারে। পরবর্তীতে ষাট ৬০ ওভার খেলা কে কমিয়ে ৫০ ওভার করা হয়েছে এবং আরো পরে ক্রিকেট খেলার প্রচলন ঘটে বিশ ওভারে বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে।

আরো পড়ুনঃ  পদ্মা সেতু-পদ্মা বহুমুখী সেতু রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

আগে ক্রিকেট খেলার পরিচালনা করতে দুই জন আম্পিয়ার থাকতেন কিন্তু বর্তমানে খেলা পরিচালনার সুবিধার্থে আরেকজন আম্পিয়ার অর্থাৎ থার্ড আম্পিয়ার খেলা পর্যবেক্ষণ করেন। বর্তমানে আবার খেলা পরিচালনা করতে বিভিন্ন প্রযুক্তি বা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ক্রিকেট খেলা ও বাংলাদেশ

১৯৯৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অর্জনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দুনিয়ায় প্রবেশ করে। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও স্কট ল্যান্ডকে পরাজিত করার মধ্যে দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেট আসরে বাংলাদেশ আলোচনায় আসে এবং এরই ফলস্বরূপ ২০০০ সালে বাংলাদেশ লাভ করে টেস্ট মর্যাদা এবং বাংলাদেশ টেস্ট খেলা শুরু করে আইসিসির দশম সদস্য হিসেবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তাদের প্রথম ম্যাচ খেলে ভারতের বিপক্ষে এবং ক্রিকেট বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোকে চমকে দেনপ্রথম ইনিংসের ৪০০ রান করে।


বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নানা কারণে তাদের সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল শক্তির বিচারে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশ যদি সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারে তবে যে কোন দেশ কে হারাতে পারবে। সাফল্যের আনন্দ ক্ষণিকের এ কথা তাদের মাথায় রাখতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

আইসিসি প্রতিষ্ঠা

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফি লাভ করে। ১৯৫৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কনফারেন্স বা আইসিসি গঠিত হয়। ১৯০৯ সালে মূলত আইসিসি প্রতিষ্ঠা পায় তবে তখন এটি ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট কনফারেন্স নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে তা আইসিসি ট্রফি নাম ধারণ করে আর ইন্টারন্যাশনাল হিসেবে পরিবর্তনের ফলে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলো ছাড়াও অন্যান্য দেশ এর সদস্য হবার সুযোগ পায়।

ক্রিকেট খেলার উপকারিতা

ক্রিকেট খেলা ও অন্যান্য খেলার মত আনন্দদায়ক এবং স্বাস্থ্য সম্মত খেলা। খেলোয়াড়দের এই খেলা একাধারে ধৈর্য, সহিষ্ণু,  শৃঙ্খলা বোধ, পারস্পরিক সমঝোতা, সতর্কতা, দায়িত্বজ্ঞান ইত্যাদি শিক্ষা দিয়ে থাকে। এই খেলা এক রাষ্ট্রের সাথে অপর রাষ্ট্রের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে তাই সব দেশের খেলোয়াড় কে বলা হয় ক্রিড়া দূত। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়াড় গণ পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিশ্ব ক্রিকেট অনেক উজ্জ্বল।

টিকেট খেলার অপকারিতা

ক্রিকেট খেলায় অনেক ঝুঁকি রয়েছে। ক্রিকেট খেলার বল কাঠ এবং চামড়া দিয়ে তৈরি এবং এই বলের ওজন প্রায় ৩৮০ গ্রাম। আর এই বল  সজরে নিক্ষেপ করা হয় আর এই বল যদি কোন খেলোয়াড়ের মাথায় লাগে তাহলে খেলোয়াড়ের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ক্রিকেট খেলা অনেক সময় ধরে হয় তাই এই খেলার সময় অপচয় হয় অনেক বেশি। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি যদিও প্রতিটি জিনিসের ভালো এবং মন্দ দুটি দি কই থাকে তবে ক্রিকেট খেলায় মন্দ দিকের চাইতে ভালো দিকের সংখ্যায় বেশি। সবাই সচেতন থাকলে সকল ধরনের ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ক্রিকেট কেন প্রিয় খেলা

ক্রিকেট আমার প্রিয় খেলা। ক্রিকেট আমার কাছে একটি আবেগের নাম। খুব ছোটবেলা থেকে যখন আমি টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখতাম তখন থেকে আমার ক্রিকেট খেলা অনেক ভালো লাগতো। আমি যখন দেখতাম আমার কিছু প্রিয় খেলোয়াড় বিশেষ করে শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, সাকিব আল হাসান বল করছেন এবং ব্যাট করছেন তখন আবার অনেক ভালো লাগতো।

আরো পড়ুনঃ  মাদককে রুখবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব রচনা জেনে নিন

আর তাদের খেলা দেখে নিজের মনে ও স্বপ্নের জাল বোতাম একজন ক্রিকেটার হওয়ার জন্য। ক্রিকেট খেলার মধ্যে যে উত্তেজনা ও উদ্দীপনা রয়েছে তা প্রতিমুহূর্তে আমার মনকে আন্দোলিত করে। খেলা হয়ত মানুষের কাছে মানসিক বা শারীরিক বিনোদন মাত্র তবে আমার কাছে ক্রিকেট আমার জীবনের আদর্শ স্বরূপ। জীবনে যেমন উত্থান পতন থাকে ঠিক তেমনি ক্রিকেটেও রয়েছে উত্থান পতন।


ক্রিকেট খেলায় যেমন ছক্কা মেরে সফলতা অর্জন করা যায় জীবনেও তেমনি সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়। একটি ক্রিকেট ম্যাচ মানুষকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল মানুষকে স্বীয় মহিমায় মাতিয়ে রাখে তাই সবকিছু মিলে ক্রিকেট আমার প্রিয় খেলা।

উপসংহার

আধুনিক যুগে যত ধরনের খেলা রয়েছে তার মধ্যে ক্রিকেট হল প্রিয় খেলা। ক্রিকেট খেলা সময় সাপেক্ষ এবং ব্যায় সাপেক্ষে হলেও এই খেলা অনেক আনন্দদায়ক। তবে অনেক মানুষ এই খেলা কে অপচয় বলে মনে করেন। জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে ক্রিকেট অত্যন্ত অনিশ্চয়তার খেলা। খেলার মোড় এক মুহূর্তেই ঘুরে যেতে পারে।  তাই ক্রিকেট উত্তেজনা, উদ্দীপনা এবং জনপ্রিয় একটি খেলা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও এগিয়ে যাচ্ছে চলমান বিশ্ব ক্রিকেটের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url